গরুর ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল নারীর

 

গরুর ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল নারীর


লালমনিরহাট জেলার গরুর ঘরে বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে বানু বেগম (৪০) নামে এক মহিলার বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা গেছে।
ইন্নালিল্লাহি - অ- ইন্না- ইলাইহি -রজিউন।
সোমবার (২১ আগস্ট) রাত ৮টায় পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বানু বেগম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগরে ছেংছেংগা পানি গ্রামে একরামুল ইসলামের স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমরার রাত ৮টায় দিকে গরুর ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বানু বেগম আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।এ বিষয়ে বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম মিরন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে, অসাবধানতাবসত বিদ্যুৎতের লাইন দিতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তার দাফন করা হবে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

আড়াই মাস পর নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

ইউনিয়ন প্রতিনিধি।দৈনিক স্বপ্ন যাত্রা। ২২ আগস্ট ২০২৩.

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ দুই মাস ১৯ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সীমান্তের ৮৬৮ নম্বর প্রধান ও ৩ নম্বর সাব পিলারের কাছ দিয়ে ইউছুফের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।

এ সময় ভারত পক্ষের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রী মুখ ক্যাম্পের কমান্ডার অরবিন্দ কুমার, কোচবিহারের একজন ম্যাজিস্ট্রেট, মেখলিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেমন্ত মুখার্জি এবং বাংলাদেশের পক্ষে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নাজিরগুমানী ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার রেজাউল করিম, জগতবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব রহমান, জগতবেড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

৫ জুন ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার কালিরহাট সীমান্ত মেইন পিলার ৮৫৭ কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ইউসুফ আলী। নিহত ইউসুফ আলী (২৫) উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মেসেরডাঙ্গা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।

বিএসএফ এর পাটগ্রাম সীমান্তের দায়িত্ব রত কমান্ডার দৈনিক স্বপ্ন যাত্রা নিউজকে জানান, তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানা পেরেছে, ৫ জুন ভোরে ইউসুফ আলীসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে উপজেলার কালিরহাট সীমান্তের মেইন পিলার নম্বর ৮৫৭ সাব পিলার-১৩ পেরিয়ে গরু পারাপার করতে যান। এ সময় ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মীররাপা ক্যাম্পের টহল দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে সেখানেই ইউসুফ আলীর মৃত্যু হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ১০-১২ জন পালিয়ে আসেন। পরে বিএসএফের পাহারায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে করে।

এদিকে ইউছুফের মরদেহ ফেরত চেয়ে বাবা শাহ জামাল ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে আবেদন করেন। বিজিবি উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ২-৩ দিন আগে মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা জানায় বিএসএফ।

এ বিষয়ে জগতবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি-বিএসএফ), ভারতের আদালতের একজন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি যুবক ইউছুফের মরদেহ তার বাবার কাছে তুলে দেওয়া হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাটগ্রাম থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে।

আজকে ইউছুফের মরদেহ ভারতে থেকে বাংলাদেশের বিজিবি এবং পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।

ইউছুফের পরিবার তার হত্যার খবর পেয়ে বিজিবির কাছে যেয়ে কাঁন্নাকাটি করে এবং তার মরদেহটি ফেরত চায়।

অবশেষে ইউছুফের মরদেহ তাদের কাছে পৌঁছে দেয় পাটগ্রাম সীমান্তের বিজিবি এবং পুলিশ।

এসআই শামীম 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Facebook