দৈনিক স্বপ্ন যাত্রা, আদিতমারী
২৪.১২.২৪ |১০:৩০
গতকাল ২৪ ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার "কৈশোর কর্মসুচির" আওতায় "কৈশোর কার্যক্রম" আরডিআরএস বাংলাদেশ এর আয়োজনে এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)এর সহযোগিতায় আদিতমারি উপজেলার কিশোর কিশোরী ক্লাবের লিডারদের নিয়ে উপজেলা দ্বি-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন আদিতমারী সদর ব্রাঞ্চের কোষাধ্যক্ষ জনাব মো: আশরাফুল ইসলাম ও মাইক্রোফাইনান্স উন্নতি প্রোগামের এরিয়া ম্যানেজার শ্রী চন্দন কুমার এবং ন্যাশনাল ইয়থ ফোরামের কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো: জামাল হোসেন সহ সাংবাদিক সামীউল ইসলাম শামীম। উক্ত সভাটি সঞ্চালন করেন উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার (ইনচার্জ)মো:সামিউল ইসলাম।
আরডিআরএস বাংলাদেশ (পিকেএসএফ) - এর আওতায় তাঁরা শুধু মাত্র কৈশোর কর্মসূচি এবং জননী প্রকল্পগুলো চালু ছিল তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
কিন্তু আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে পিকেএসএফ এর আওতায় তাঁরা আরও একটি সংস্কারের মাধ্যমে কৈশোর, যুবক এবং বৃদ্ধদেরকেও নিয়ে তাঁরা কাজ শুরু করবে যা বর্তমানে সিলেটে " পাইলট " প্রকল্প হিসেবে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও আগামী অর্থ বছরে পিকেএসএফ এর আওতায় স্যাটেলাইট ক্লিনিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মী এবং ব্রাকে অনেক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে দৈনিক স্বপ্ন যাত্রাকে জানিয়েছেন, আরডিআরএস বাংলাদেশ (পিকেএসএফ) - এর আদিতমারী উপজেলা শাখার "কৈশোর কর্মসূচি" প্রেজেক্ট হেড সামীউল ইসলাম।
পিকেএসএফ এর উদ্দেশ্য
পিকেএসএফ নিসন্দেহে একটি ভালো প্রকল্প। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমানে কৈশোররা তাদের অল্প বয়সে বিভিন্ন কারণে মাদকে আসক্ত হয়ে যায় এতে করে তাঁরা তাদের অজান্তেই তাদের সুন্দর জীবনটা নষ্ট করে ফেলছে। তাঁরা দিন দিন মাদকে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে যা শিশু, যুবক বৃদ্ধ সকলের জন্যই অনেক বেশি ঝুকিপূর্ণ। সেজন্য পিকেএসএফ আরডিআরএস বাংলাদেশ মনে করেছে যে, যদি কৈশোরদেরকে নানা ধরনের ভালো কাজের সাথে,খেলাধুলার সাথে যুক্ত করে এবং বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং এর মাধ্যমে তাদেরকে ব্যস্ত রাখা যায় তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও মাদক থেকে কৈশোরদেরকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব হবে। এছাড়াও তাঁরা বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ শুরু করবে। যা আগামী অর্থ বছর থেকে কার্যক্রম শুরু করবে। আসলে বাবা-মা বৃদ্ধ হলে তাদেরকে কেউ মূল্যায়ণ করে না এবং তাঁরা আর তাদের সংসারের কোন কাজে আসে না।এতে করে পরিবারের বৃদ্ধরা নানা ধরনের মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে একসময় তাঁরা মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যু এটা চিরন্তন সত্য যার সাধ সবাইকেই গ্রহণ করতে হবে বাধ্যতামূলক।কিন্তু পিকেএসএফ মনে করে যদি তাদেরকে সময় দেওয়া যায় এবং তাদেরকে একটু পিকেএসএফ-এর আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলে তারা অন্তত তাদের বাকি সময়টা আনন্দের সাথে কাটাতে পারবে তাদের মধ্যে অন্তত আর একাকিত্ব বোধ কাজ করবে না।
মিটিং শেষে প্রজেক্ট হেড,এরিয়া মেনেজারদের হাত থেকে কৈশোর কর্মসূচির আদিতমারী উপজেলা সবগুলো ইউনিয়নের মেইন এবং ক্লাবের সভাপতিদের হাতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এসআই শামীম