ফ্রিল্যান্সিং কী এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে কী কী লাগে

 ফ্রিল্যান্সিং কী

ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে মুক্ত কাজ বা পেশা।যেকোনো ব্যাক্তি নিজের ঘরে বসে সারাবিশ্বে বা সারা পৃথিবীতে কাজ করার নামেই হলো ফ্রিল্যান্সিং।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

অন্যভাবে বলা যায়,কারও অধিনে না থেকে নিজের ইচ্ছে মতো সময়ে সারা বিশ্বে কাজ করার নামই হলো ফ্রিল্যান্সিং।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং


নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত, কারও অধিনে না থেকে সারাবিশ্বের যেকোনো জায়গায় কাজ করার নাম হলো ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাগুলো কী কী
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার কখনো একা কাজ করতে চায় না।সে চায় তার আশেপাশের বেকার মানুষদেরকে বেকারমুক্ত করতে অর্থাৎ কাজের বয়বস্তা করে দিতে।একজন ফ্রিলয়ান্সার তার সকল ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে পারে।যেমন- বাইক,মাইক্রো,বাস,একটি সুন্দর বাসাসহ অনেক কিছু করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার
ফ্রিল্যান্সিং অনেক প্রকার।যেমন-গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন,প্রোগ্রামিং,সিপিএ মার্কেটিং,আর্টিকেল রাইটিং,ই-কমার্স ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম বা আয় করা যায় 
জরিপ করে দেখা গেছে একজন একদম নতুন ফ্রিল্যান্সারের মাসে ইনকাম আসে সর্ব নিম্ন ২০,০০০ টাকা। আর যারা তাদের চেয়ে একটু বেশি দক্ষ বা অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা  মাসে ইনকাম করে ৫০,০০০ টাকা এবং যারা একবারে টপ বা উচ্চ অভিজ্ঞ বা যাদের সবচেয়ে বেশি দক্ষতা রয়েছে তারা মাসে ১ লক্ষ  থেকে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।

ফ্রিল্যান্সিং স্বাধীন পেশা
একজন ফ্রিল্যান্সারের  কিছু সুবিধা রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু অসুবিধাও।
তাদের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা নিচে দেওয়া হচ্ছে-
১. তারা কারও অধিনে থাকে না। 
২. তারা রাতে না ঘুমিয়ে সারা রাত জেগে কাজ করে।
৩.বেশি সময় অনলাইনে থাকতে হয়।
৪.তারা তাদের ইচ্ছে মতো সময়ে এবং ইচ্ছে মতো জায়গায় এমনকি ইচ্ছে মতো ভাবে কাজ করতে পারে।
৫.নতুনদের মাসে ইনকাম ২০ হাজার টাকা।
৬. মাধ্যম ফ্রিল্যান্সারদের মাসে ইনকাম ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
৭. উচ্চ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারদের মাসে ইনকাম ১লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
৮.একজন ফ্রিল্যান্সার  তাদের সব ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে পারে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম বা করার নিয়ম 

কিছুদিন আগে বাংলাদেশে একটি জরিপ করে দেখা গেছে যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের  সংখ্যা ৬ লক্ষের উপরে এবং এই কাজের  সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাদের মাসে ইনকাম ১লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
তারা প্রতি মাসে রেমিট্যান্স আনতেছে ১৫% এর উপরে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের  সংখ্যা
কিছুদিন আগে বাংলাদেশে একটি জরিপ করে দেখা গেছে যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের  সংখ্যা ৬ লক্ষের উপরে এবং এই কাজের  সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাদের মাসে ইনকাম ১লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
তারা প্রতি মাসে রেমিট্যান্স আনতেছে ১৫% এর উপরে।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বা করতে কতটুকু ইংরেজি জানা প্রয়োজন

ফ্রিলয়ান্সিং করতে নূর্ণতম  ভিডিও কলে কলে ইংরেজিতে কথা বলতে জানতে হবে।বায়ারের সাথে ইংরেজিতে এসএমএস এ কথা বলতে জানতে হবে। গুছিয়ে শুদ্ধভাবে এবং সুন্দরভাবে কথা বলতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য
ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো মুক্ত পেশা আর আউটসোর্সিং মানে হলো অন্যর অধিনে কাজ করা।বর্তমানে ২ ধরনের ফ্রিল্যান্সার আছে।এক ধরনের ফ্রিল্যাসার আছে যারা শুধু পার্টটাইম কাজ করে।আরেক ধরনের ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা সব সময় নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করে এবং আরেক ধরনের ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা অন্যর অধিনে কাজ করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কী কী লাগে

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে গেছে।এই শব্দটি ৪ বছর বয়সের বাচ্চাদের থেকে শুরু করে একদম প্রবৃদ্ধ বয়সের সকল মানুষের নৃত্য পরিচিত হয়ে গেছে।মানুষ খুব সহজে বলে আমি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার।অথচ তাদের জিজ্ঞেস করলে 'ফ্রিল্যান্সিং কী'  বলতে পারেন না। তারা মনে করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ বলা যতবেশি সহজ কাজটাও মনে হয় ঠিক ততোবেশি সহজ।আসলে এটা এতো সহজ কাজ না।এর জন্য ট্রেনিং করতে হয় এবং সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে ৬-৭বছর সময় দিতে হবে।প্রচুর ধর্য্য লাগবে।দিনে অন্তত ৫-৮ ঘন্টা সময় দিতে হবে।এই বিষয়ে নিজের Skills develop ( দক্ষতা বাড়াতে হবে)  তার পড়ে কাজ শুরু করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে কী কী লাগে?
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য তোমার যা যা লাগবে তা নিচে দেওয়া হচ্ছে-
১.উন্নত মানের এমনকি কোরআই-৭ জেনারেশনের একটি ভালো কম্পিউটার বা লেপটপ লাগবে।
(তবে লেপটপের চেয়ে অনেক বেশি ভালো হয় কম্পিউটার কিনলে।)
২.ভালো মানের ওয়াই-ফাই লাগবে।
৩. প্রচুর ধর্য্য  থাকতে হবে।
৪.দিনে অন্তত ৬-৮ ঘন্টা সময় কাজ করার মন মানসিকতা থাকতে হবে। 
৫.তুমি যদি একদম নতুন হয়ে থাক তাহলে আপাতত তোমার হাতে থাকে মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ শুরু করতে পার।
এগুলো হলেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য Best হবে।
ওয়েব ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেক ধরনের কাজ আছে 
তার মধ্যে ওয়েব ডিজাইন একটি।তুমি যদি ওয়েব ডিজাইন কাজ করতে বেশি আগ্রহী হয়ে থাক তাহলে এই পোস্টটি তোমার জন্য পড়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।তুমি যদি ওয়েব সাইট তৈরি বা ডিজাইন করতে পার তাহলে তুমি প্রথমে এই বিষয়ে তোমার Skill (অর্থাৎ দক্ষতা) অর্জন করে কাজ শুরু করতে পার।দিন দিন এই কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন?
এটিও একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ।যা দিয়ে তুমি তোমার আয় রোজগারের মাধ্যম বানাতে পার।
এই কাজের জন্য অন্যান্য সেক্টরের চেয়ে বেশি পরিশ্রমি এবং ধর্য্যশীল হতে হবে।
আমার জীবনের একটি গল্প বলি।তাহলে তুমি বুঝতে পারবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কেমন হতে হবে।

আমি নিজেও একজন প্রফেশন্যাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার।আমি প্রথমে বাসা থেকে অনেক বকা খেতে হতো। আমার হাতে মোবাইল ফোন দেখলেই খুব বকাঝকা শুরু করতো।আমি তেমন ধনী বা বড়লোক পরিবারের সন্তান না। আমার ফ্রিল্যান্সিং জগৎ শুরু মোবাইল ফোন দিয়ে।তুমি চাইলেও তুমি তোমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে আপাতত কাজ শুরু করতে পার।তারপর একসময়, আমার মনে হতো কী হবে ফ্রিল্যান্সার হয়ে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে কী টাকা ইনকাম করা যায়? যতোটুকু এই বিষয়ে এগিয়ে গেছি এইটুকুতেই থেমে যাই। নিজের প্রতি একটু রাগ হলো মনে মনে। দমে যাবার পাত্র  তো আমি নই। ফ্রিল্যান্সিং এর জগৎ আমি দেখেই নিব এতে যা হবার হবে।সেই থেকে শুরু করেছি আজও আছি।আজকে আমার অধিনে ৫০+ লোক কাজ করছে।
আজকে সবাই আমাকে নিয়ে গর্ব করে।অথচ তারা আমাকে পদে পদে অপমান করেছে এবং আমাকে সর্য্য করতে হয়েছে অনেক লাঞ্চণা।
আশা করি আমার এই লেখা গুলো পড়লে তুমি অনেক অজানা কিছু জানতে পারবে এবং শিখতে পারবে।
যদি আমার এই লেখা গুলো তোমার কোন কাজে আসে তাহলে আমার লেখা কথা গুলো এবং আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Facebook