শিগগর আসছে ‘স্মার্ট মিউটেশন’
শিগগর পরবর্তী (দ্বিতীয়) প্রজন্মের নামজারি সিস্টেম ‘স্মার্ট মিউটেশন’ চালু করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ভূমি ভবনে ‘স্মার্ট মিউটেশন’ সিস্টেমের একটি ডেমো প্রদর্শন করা হয়। ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান এই সিস্টেমের সক্ষমতা দেখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডেমো প্রদর্শনীর পর ভূমি কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে গঠনমূলক ফিডব্যাক দেন, যা ‘স্মার্ট মিউটেশন’ সিস্টেমের চলমান উন্নয়নে প্রযোজ্যতা অনুসারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিগত প্রায় ৬ বছর ধরে চালু থাকা বর্তমান প্রথম প্রজন্মের ই-নামজারি ব্যবস্থা থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভূমিসেবা গ্রহণকারী নাগরিক, ভূমিসেবা প্রদানকারী ভূমি কর্মকর্তা, ভূমি সেবায় সহায়তাকারী, সিস্টেম ডেভেলপারসহ সব অংশীজনের মতামত গ্রহণ করে উন্নয়ন করা হচ্ছে ‘স্মার্ট মিউটেশন’ সিস্টেম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সমৃদ্ধ স্মার্ট মিউটেশন সার্ভিস সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের সময় ব্যবহারকারীকেন্দ্রিক ডিজাইন, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিসের সঙ্গে সহজ ইন্টিগ্রেশন, অটোমেশন, দক্ষ কর্মপ্রবাহ ব্যবস্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন এবং শক্তিশালী ডিজিটাল নিরাপত্তা, ওপেন ডেটা গভর্নেন্স পলিসি ইত্যাদির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
থানা থেকে পালানো নারী আসামি ১৭ ঘণ্টা পর ফের গ্রেফতার
রাজধানীর আদাবর থানা হেফাজত থেকে পালানো মাদক মামলার আসামি লাবনী আক্তারকে (২০) আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা ঢাকা ও আশপাশের থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অসতর্কতায় থানা হেফাজতে থাকা মাদক মামলার আসামি লাবনী আক্তার পালিয়ে যান। শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি কৌশলে থানা থেকে পালিয়ে যান। পরে রাত ১১টা পর্যন্ত থানার দুই পরিদর্শকের (তদন্ত ও অপারেশন) নেতৃত্বে ঢাকার মোহাম্মদপুর, আদাবরসহ আশপাশের এলাকা এবং সাভার, হেমায়েতপুর, বসিলার মধুসিটিসহ বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালানো হয়। পরে ১৭ ঘণ্টা পরে লাবনীকে গ্রেফতার করা হয়।
যেভাবে গ্রেফতার হলেন লাবনী
ওসি মাহবুব বলেন, অত্যন্ত কৌশলে লাবনী পালিয়ে যান। পরে তাকে খুঁজতে মাঠে নামে পুলিশ। এরপর তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ থানার বসিলা এলাকার মধুসিটি হাউজিং থেকে লাবনীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
আসামি পালানো ও দায়িত্ব অবহেলা তদন্তে কোনো কিমিটি গঠন করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি বলতে পারছি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। তবে দায়িত্বরতদের কিছুটা অসতর্কতা তো ছিলই।
এর আগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) আদাবর থানার শেখেরটেক ১২ নম্বর রোড থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ লাবনী আক্তারকে গ্রেফতার করে আদাবর থানা পুলিশ। পরে ওইদিনই তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। মামলা শেষে থানায় ছিলেন লাবনী। শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘুমে আচ্ছন্ন হলে পালিয়ে যান লাবনী। এসময় ডিউটি অফিসার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন।