কিভাবে ব্লগ তৈরী করবো ? সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি প্রফেশনাল ব্লগ তৈরির নিয়ম কি? ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো? এই বিষয় গুলো নিয়ে হয়তো আপনিও ভাবছেন যদি আপনি একটি নতুন ব্লগ তৈরি করার কথা ভাবছেন।
দেখুন, বর্তমান সময়ে একটি ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম বলতে সে দুধরণের হতে পারে। হয়তো আপনাকে Blogger-এর দ্বারা সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে, আর নাহলে WordPress-এর দ্বারা একটি প্রফেশনাল ব্লগ বানাতে হবে।
এমনিতে ব্লগার একাউন্ট তৈরি করার মাধমেও আপনি সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। WordPress-এর ক্ষেত্রে আপনাকে web hosting কিনে নিয়ে তারপর ব্লগ তৈরি করতে হয়। তবে, ব্লগার (blogger.com) এর ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা ভাবে ওয়েব হোস্টিং কিনতে হবেনা।
তবে চাইলে আপনি নিজের একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনে নিতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা, একটি ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং ব্লগার প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে একটি ব্লগ সাইট তৈরির নিয়ম কি সেই বিষয়ে সম্পূর্ণটা আপনাদের বলবো।
মনে রাখবেন, Google এর blogger দ্বারা আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতে কোনো টাকা খরচ না করেই ব্লগ খুলতে পারবেন। এছাড়া, এর দ্বারা একটি ব্লগ তৈরি করার নিয়মও অনেক সোজা।
তবে আপনি চাইলে নিজের ব্লগার ব্লগে একটি Top Level Domain (.com, .info, .NET etc.) কানেক্ট করতে পারবেন যেটা ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যেই কিনে নিতে পারবেন।
Blogger কি? ব্লগারে ব্লগ তৈরির জন্য কিসের প্রয়োজন?
Blogger বা ব্লগার Google এর দ্বারা নির্মিত এমন একটি ফ্রি ওয়েবসাইট বিল্ডার যেটা ব্যবহার করে জেকেও নিজের একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।
Google এর একটি পরিষেবা হওয়ার কারণে ব্লগার একটি অনেক বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম এবং ফ্রীতে ব্লগ বানানোর জন্য একটি অনেক কার্যকর পরিষেবা প্রদান করে থাকে। শুরুতে বেশিরভাগ লোকেরাই Blogger-এর মাধ্যম blogging শুরু করে থাকেন।
এখানে ব্লগ বানানোর জন্য আপনার কেবল একটি Google বা Gmail একাউন্টের প্রয়োজন হবে। এছাড়া, আপনি একটি ব্লগার একাউন্টের মধ্যেই অনেকগুলি ব্লগ বানিয়ে হোস্ট করতে পারবেন। তবে যদি আপনার জিমেইল একাউন্ট নেই তাহলে জেনেনিন – Gmail একাউন্ট কিভাবে বানাবেন।
এখানে ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনাকে কোনো রকম টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হবেনা বা অন্য কোনো জিনিসে যেমন hosting বা theme ইত্যাদির জন্য টাকা দিতে হবেনা। পরিষেবাটি পুরোপুরি ফ্রি এবং এখানে বানানো ব্লগেও AdSense এর বিজ্ঞাপন লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
তাহলে দেরি করে কি লাভ। চলুন, একটি ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং এর দ্বারা ব্লগ তৈরির সম্পূর্ণ নিয়ম গুলো জেনেনেই।
ব্লগার দিয়ে কিভাবে ব্লগ তৈরী করবো? ব্লগ তৈরির নিয়ম
Blogger দিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ কিভাবে তৈরি করে? আপনিও যদি এই বিষয়ে জানতে চাইছেন তাহলে চিন্তা করতে হবেনা। একটি ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং তাতে ব্লগ সাইট বানানোর নিয়ম কি? এই বিষয়ে নিচে আমি স্টেপ বাই স্টেপ এবং সম্পূর্ণ তথ্য গুলো আপনাদের বলে দিয়েছি।
Blogger-এ ব্লগ বানানোর জন্য আপনি laptop বা computer ব্যবহার করতে হবে এবং তাতে internet connection থাকাটা জরুরি।
আমি আগেই বলেছি যে, ব্লগ বানানোর জন্য আপনার একটি Gmail বা Google একাউন্ট থাকার প্রয়োজন।
ওপরে বলা জরুরি জিনিষগুলি তৈরি থাকলে, আমি নিচে বলা steps গুলি অনুসরণ করে ব্লগারে নিজের একটি ব্লগ বানিয়ে নিতে পারবেন।
তাহলে চলেন, এখন নিচে আমরা ব্লগার দিয়ে ব্লগ খোলার নিয়ম গুলি জেনেনেই।
স্টেপ ১. Google account লগইন করুন:
সবচে আগেই আপনার নিজের computer বা laptop থেকে Blogger.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর আপনি ওপরে ছবিতে দেখার মতোই ব্লগারের home page-টি দেখতে পাবেন।
- আপনি সরাসরি, “Create your blog” বলে থাকা লিংক বা বটনটির মধ্যে click করুন।
- “Create blog” বাটন এ ক্লিক করার পর আপনি Google account login পেজ দেখবেন।

Account login পেজে আপনি নিজের জিমেইল আইডি এবং password দিন এবং নিজের Google একাউন্টে লগইন করুন।
মনে রাখবেন, আপনার জিমেইল একাউন্টে লগইন করা মানেই blogger একাউন্টে লগইন করা।
আপনাকে আলাদা ভাবে একটি ব্লগার একাউন্ট তৈরি করতে হবেনা। জিমেইল দিয়ে লগইন করার পর আপনার Blogger account তৈরি হয়ে যাবে।
স্টেপ ২. ব্লগার profile name সেট করুন:
এখন জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করার পর আপনি ব্লগারের ওয়েবসাইট বিল্ডার প্লাটফর্মে লগইন হয়ে যাবেন।
প্রথমেই আপনাকে আপনার ব্লগার প্রোফাইলের profile name set করতে বলা হবে।

আপনি ওপরে ছবিতে দেখতেই পারছেন, ওপরে “welcome to blogger” লেখা আছে এবং নিচে “confirm your profile” বলে লিখা আছে।
- আপনাকে নিচে “Display name” বক্সে একটি profile name দিতে হবে।
- আপনি যেকোনো নাম দিতে পারেন যেমন আমি দিয়েছি “banglatech”.
- মনে রাখবেন, দিয়ে দেওয়া আপনার profile name-টি আপনার ব্লগে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলোর সাথে দেখানো হবে।
- মানে এই profile name-এর সাথেই আপনার ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল গুলি publish বা প্রচার করা হবে।
তাহলে এখন একটি ভালো profile name দিন এবং নিচে “Continue to blogger” button-এ ক্লিক করুন।
স্টেপ ৩. Blogger dashboard থেকে ব্লগ বানান:
এখন পরের পেজে আপনি নিজের ব্লগার dashboard দেখবেন।
আপনার ব্লগার একাউন্টে যিহেতু আগের থেকে বানানো একটি ব্লগ ও নেই তাই নিচে “create new blog” বলে একটি button বা লিংক দেখানো হবে।

ওপরে ছবিতে দেখানোর মতো আপনি “create new blog” লিংক দেখবেন যেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৪. নতুন ব্লগের তথ্য:
এখন আপনি নিজের কম্পিউটার স্ক্রিনে কিছু option দেখবেন যেমন “title”, “address”, “theme”.

Blogger-এ ব্লগ বানানোর আগে আপনার এই ৩ টি option ভালো করে ফিলাপ করতে হবে।
- Title – এই জায়গায় আপনাকে নিজের ব্লগের বিষয়ে এক লাইনে কিছু লিখতে হবে। একে ব্লগের টাইটেল বলা হয়। ভালো করে বুঝার জন্য আপনি ওপরে ছবিতে আমি কি টাইটেল লিখেছি সেটা দেখুন।
- Address – এই ভাগে আপনাকে নিজের ব্লগার ব্লগের URL address সেট করতে হবে। আপনি যেকোনো একটি URL নাম দিয়ে সেট করতে পারবেন। যেমন, banglatechdotinfo.blogspot.com.
কিন্তু মনে রাখবেন আপনার দেওয়া blog address উপলব্ধ (available) থাকলেহে আপনি সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
দিয়ে দেওয়া URL address-টি available থাকলে, আপনাকে “this blog address is available” বলে লিখে দেখিয়ে দেওয়া হবে। নাহলে,আপনাকে অন্য একটি address দিতে হবে।
তবে, আপনি ব্লগ বানানোর পর অবশই নিজের ব্লগের জন্য একটি in, .com বা info র মতো top level domain set করতে পারবেন।
- Theme – এখন আপনি theme বলে একটি option দেখবেন যেখানে আপনি অনেক রকমের ওয়েবসাইট থিম গুলো দেখবেন। থিম (theme) মানে হলো আগের থেকে তৈরি ব্লগের ডিজাইন। আপনি নিজের ব্লগের জন্য যেমন theme সিলেক্ট করবেন আপনার ব্লগটির ডিজাইন সেই হিসেবে সেট হবে।
আপনাকে সরাসরি দেখিয়ে দেওয়া থিম গুলোর মধ্যে থেকে নিজের পছন্দ মতো একটি থেকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। এমনিতে, ব্লগ তৈরি করার পরও আপনি থিম পরিবর্তন করতে পারবেন। এর জন্যে উপযুক্ত অপসন আপনারা পাবেন।
- এখন সবকিছু করার পর নিচে ডানদিকে থাকা “create blog” অপশনে ক্লিক করেদিন।
স্টেপ ৫. SKIP Google domain অপসন:
এখন, পরের পেজে আপনি একটি option বা box দেখবেন যেখানে “Google domain” লিখা থাকবে।

এখন আপনি find a domain বাক্সে নিজের ব্লগার ব্লগের জন্য top level domain যেমন in, com, info বা org domain সার্চ করে register করতে পারবেন।
মনে রাখবেন এতে আপনার কিছু টাকা domain কিনার জন্য দিতে লাগতে পারে।
তবে এটা সম্পূর্ণভাবে আপনার ব্যক্তিগত চয়েস। আপনি যদি চান তাহলে নিজের ব্লগের জন্য top level domain এখান থেকে রেজিস্টার করতে পারবেন।
যদি আপনি ডোমেইন রেজিস্টার করতে চাচ্ছেননা বা পরে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনে নিবেন বলে ভাবছেন, তাহলে “No thanks” লিংকে ক্লিক করুন।
মনে রাখবেন, একটি top level domain কিনে blogger ব্লগে ব্যবহার করাটা বাধ্যতামূলক বা জরুরি নয়।
আপনি যদি চান তাহলে ব্লগারের ফ্রি blog URL address নিজের ব্লগে ব্যবহার করতে পারবেন।
তাহলে এখন সরাসরি “No thanks” লিংকে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৬. আপনার ব্লগ তৈরী হয়ে গেছে:
এখন ওপরে no thanks লিংকে ক্লিক করার পর আপনার blogger ব্লগ তৈরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
আপনি এখন সরাসরি নিজের Blogger Blog-এর Dashboard-টি দেখতে পাবেন। আর এখান থেকেই আপনি নিজের ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবেন।

Dashboard থেকে আপনি নিজের ব্লগের address-এ গিয়ে ব্লগের design বা live view দেখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে “View blog” এর লিংকে click করতে হবে।
এর বাইরেও আপনি নিজের dashboard থেকে new post এ গিয়ে নতুন article লিখতে পারবেন বা সেটা publish করতে পারবেন।
এছাড়া, theme অপশনে গিয়ে তৈরি করা নতুন ব্লগ এর জন্য থিম সেট করতে পারবেন।
নিজের ব্লগার ব্লগ থেকে Google AdSense এর জন্য apply করে টাকা আয় করার জন্য “Earnings” বাটনে click করতে হবে।

সোজাসোজি বললে আপনি নিজের blogger dashboard থেকে ব্লগের সাথে জড়িত প্রত্যেকটি অপসন গুলি পেয়ে যাবেন।
ব্লগটি তৈরি করার পর অপসন গুলিতে গিয়ে ভালো করে দেখে নিন, এমনিতেই বিষয় গুলো বুঝে যাবেন।
স্টেপ ৭. তৈরি করা নিজের নতুন ব্লগে ভিজিট করুন:
আপনার বানানো ব্লগটিকে দেখতে হলে আপনি নিজের blogger dashboard থেকে ওপরে বামদিকে থাকা “view blog” অপসন ক্লিক করুন।
এতে আপনি আপনার বানানো ব্লগটিতে প্রবেশ করে সেটিকে দেখে নিতে পারবেন।

আপনি যদি সরাসরি নিজের ব্লগে ভিসিট করতে চান বা অন্য কেও যদি আপনার ব্লগে সরাসরি প্রবেশ করতে চায়, তাহলে আপনার ব্লগের URL address যেটা আপনি ব্লগ বানানোর সময় দিয়েছিলেন সেটা ইন্টারনেটে সার্চ করলেই ব্লগটি খুঁজে পেয়ে যাবেন।
ব্লগ তৈরির জন্য WordPress ভালো না Blogger?
দেখুন, আমি গত ৭ বছর ধরেই ব্লগিং করছি এবং আমাকে এই প্রশ্নটি জিগেশ করলে আমার উত্তর হবে “WordPress”।
কারণ আজ ব্লগিং সম্পূর্ণ ভাবে একটি professional business হয়ে গিয়েছে এবং তাই আপনাকেও সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে।
তবে, ব্লগ বানানোর ক্ষেত্রে Blogger একটি খারাপ প্লাটফর্ম কখনোই না। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ব্যক্তিরা বর্তমানেও blogger-এর মাধ্যমে blog তৈরি করছেন।
কিন্তু কেন আমি WordPress-কে blogger-থেকে অধিক সুবিধাজনক ও ভালো blog তৈরির platform হিসেবে বিবেচিত করছি?
WordPress-এর কিছু লাভ ও সুবিধা: |
---|
১. WordPress দিয়ে বানানো ব্লগ গুলোতে নিজের মতো করে optimization করা সম্ভব। |
২. SEO optimization-এর ক্ষেত্রে Yoast এবং Rank Math-এর মতো উন্নত plugin গুলো ব্যবহার করা যাবে। |
৩. Theme এবং CSS এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল লুকিং ব্লগ তৈরি করা সম্ভব। |
৪. ব্লগ সাইটের লোডিং স্পিড উন্নত করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন cache plugin গুলো রয়েছে। |
৫. অনেক সহজেই একটি সম্পূর্ণ responsive এবং mobile friendly ব্লগ সাইট তৈরি করা সম্ভব। |
৬. নিজের পছন্দ মতো হোস্টিং সার্ভার এর মধ্যে নিজের ব্লগ সাইটটি হোস্ট করতে পারবেন। |
৭. আপনার ব্লগ সাইট এর ১০০% মালিক কেবল আপনি। ব্লগ সাইটের সাথে জড়িত অধিকার গুলো কেবল আপনার কাছেই থাকছে। |
৮. উন্নত theme এবং plugin গুলোর সাহায্যে e-commerce থেকে শুরু করে যেকোনো ধরণের সাইট তৈরি করা সম্ভব। |
দেখুন, যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ সাইট তৈর করার জন্য আপনার হাতে একেবারেই টাকা নেই (যদিও এর জন্যে অনেক সামান্য অর্থের প্রয়োজন) তাহলে আপনি Blogger ব্যবহার করে একটি ব্লগ সাইট অবশই তৈরি করে নিতে পারবেন।
ধীরে ধীরে যখন ব্লগে traffic বৃদ্ধি পাবে, সেই হিসেবে ভবিষ্যতে blogger থেকে WordPress-এ ব্লগটি ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
FAQ: ব্লগ সাইট খোলার নিয়ে কিছু প্রশ্ন:
আপনি যদি সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি ব্লগ সাইট বানাতে চাইছেন তাহলে Blogger.com-এ গিয়ে নিজের Gmail/Google আইডি দিয়ে লগইন করে একটি ব্লগার একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। এর পর নিজের ব্লগার ড্যাশবোর্ড থেকে প্রয়োজন মতো একাধিক blog site গুলো বানিয়ে নিতে পারবেন।
ব্লগার একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে Blogger.com এর সাইটে গিয়ে নিজের Google ID এবং password দিয়ে login করতে হবে। আপনাকে আলাদা ভাবে কোনো ধরণের একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবেনা।
অবশই পারবেন, মোবাইলের জন্য Blogger এর একটি App রয়েছে যেটা ব্যবহার করে অনেক সুবিধাজনক ভাবে মোবাইলে ব্লগ তৈরি করা এবং পরিচালনা করা সম্ভব। Download Blogger App।
অবশই সম্ভব, এমন অনেকেই রয়েছেন যারা একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করে গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করছেন।
আমাদের শেষ কথা
তাহলে দেখলেন তো, blogger দিয়ে ব্লগ তৈরির নিয়ম কতটা সোজা ও সহজ। এমনিতে ব্লগারে ব্লগ সাইট বানানোর পর কি করতে হবে, setting কিভাবে করবেন বা ব্লগ ডিসাইন কিভাবে করবেন এই বিষয় গুলো নিয়ে আমি একটি নতুন আর্টিকেল লিখে আপনাদের সবটা বলবো। এখন প্রথমে আপনারা ওপরে বলা ধাপ গুলো অনুসরণ করে ব্লগারে একটি ব্লগ বানিয়ে নিন। আপনাদের যদি ব্লগ বানাতে কোনো রকমের অসুবিধা অনুভব হয় তাহলে আমাকে নিচে comment অবশই করবেন। আমি অবশই আপনাদের সাহায্য করবো। আশাকরি, ব্লগারে ফ্রি ব্লগ কিভাবে বানাবেন এর বিষয়ে আমি আপনাদের ভালোকরে বুঝিয়ে বলতে পেরেছি।
ওয়েবসাইট তৈরির খরচ : নতুন ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে
এক্ষেত্রে আপনার খরচ শুরু হতে পারে আনুমানিক ১০ হাজার টাকা থেকে, সেটি আবার কোন ধরনের ওয়েবসাইট তার উপর ভিত্তি করে। যেমন, বিজনেস ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট, পার্সোনাল ওয়েবসাইট অথবা সাধারন ব্লগ ওয়েবসাইট হলে ১০/১৫ হাজার থেকে শুরু, এবং ই-কমার্স ওয়েবাসইট হলে ২০/২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?
ওয়েবসাইট তৈরি – অনলাইন এবং অফলাইন এই দুটি শব্দের সাথেই আমরা বেশ পরিচিত। তবে বর্তমানে অনলাইন শব্দটির সাথে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং দৈনিন্দন কথা বার্তায় এই শব্দটি উল্লেখ করে থাকি। অনলাইনে উপস্থিতির সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন কোনায় কি ঘটছে তা জানতে পারি। ওয়েবসাইট কত গুলো ওয়েব পেজ বা পৃষ্টার সমন্বয়ে গঠিত যেখানে ইনফোরমেশন থাকে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে প্ল্যান করতে হয়। তবে তার আগে জানার জানতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা কি? কেন দরকার।
ওয়েবসাইট কি
ওয়েবসাইট শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। তবে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে ওয়েবসাইট কি? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে আপনার যে কোন ইনফরমেশন তুলে ধরার একমাত্র মাধ্যমকেই ওয়েবসাইট বলা যায় । এটা কে আপনি আপনার অনলাইন প্রোপার্টি অর্থাৎ সম্পদ বলতে পারেন।
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন সার্ভিস কম্পানি গুলো এই ওয়েবসাইট এর মধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে জমা করে। যেন একজন ইউজার খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
ওয়েবসাইট তৈরি করা কেন দরকার আপনার বিজনেসের জন্য?
আপনার বিজনেস বড় করার জন্য এবং নিজকে অনলাইনে তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার। বর্তমান সময়ে আপনার বিজনেসের যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে তার বৈধতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে। বাংলাদেশে এমন ট্রেণ্ড তেমন না থাকলে নতুন জেনারেশন এবং বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াই ওয়েবসাইটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন ওয়েবসাইট কাস্টমারের মনে আপনার বিজনেসের ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করে যা মানুষের মনে আস্থা আনে। একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সার্ভিস সমূহ সুন্দর ভাবে কাস্টমারের নিকট তুলে ধরে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ – ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?
- Post Published:July 7, 2022
- Post Category:ই-কমার্স ওয়েব ডেভেলপমেন্ট / ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট / ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবসাইট তৈরি – অনলাইন এবং অফলাইন এই দুটি শব্দের সাথেই আমরা বেশ পরিচিত। তবে বর্তমানে অনলাইন শব্দটির সাথে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং দৈনিন্দন কথা বার্তায় এই শব্দটি উল্লেখ করে থাকি। অনলাইনে উপস্থিতির সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন কোনায় কি ঘটছে তা জানতে পারি। ওয়েবসাইট কত গুলো ওয়েব পেজ বা পৃষ্টার সমন্বয়ে গঠিত যেখানে ইনফোরমেশন থাকে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে প্ল্যান করতে হয়। তবে তার আগে জানার জানতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা কি? কেন দরকার।
ওয়েবসাইট কি
ওয়েবসাইট শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। তবে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে ওয়েবসাইট কি? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে আপনার যে কোন ইনফরমেশন তুলে ধরার একমাত্র মাধ্যমকেই ওয়েবসাইট বলা যায় । এটা কে আপনি আপনার অনলাইন প্রোপার্টি অর্থাৎ সম্পদ বলতে পারেন।
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন সার্ভিস কম্পানি গুলো এই ওয়েবসাইট এর মধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে জমা করে। যেন একজন ইউজার খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
ওয়েবসাইট তৈরি করা কেন দরকার আপনার বিজনেসের জন্য?
আপনার বিজনেস বড় করার জন্য এবং নিজকে অনলাইনে তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার। বর্তমান সময়ে আপনার বিজনেসের যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে তার বৈধতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে। বাংলাদেশে এমন ট্রেণ্ড তেমন না থাকলে নতুন জেনারেশন এবং বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াই ওয়েবসাইটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন ওয়েবসাইট কাস্টমারের মনে আপনার বিজনেসের ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করে যা মানুষের মনে আস্থা আনে। একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সার্ভিস সমূহ সুন্দর ভাবে কাস্টমারের নিকট তুলে ধরে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ – ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়?
এত কিছুর পূর্বে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজে বুঝতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে আপনি ওয়েবসাইট কেন নিবেন? নিলেও কেমন ডিজাইন হবে, দেখতে কেমন হবে। আপনি ওয়েবসাইটের কোথায় কি দেখাতে চান তা নিয়ে আপনার সম্পূর্ন ধারনা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মনের মত ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন । আপনি যদি এই বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারেন এবং নিজের বিজনেস প্ল্যান স্টেপ বাই স্টেপ তৈরি করতে পারেন তাহলে ওয়েবসাইট যেমন সুন্দর হবে তেমনিভাবে আপনার আডিয়েন্সও বেশি পছন্দ করবে। যে কোন সুন্দর এবং রিসপোনসিভ ফার্স্ট ওয়েবসাইট আপনার বিজনেসের গতি অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে একই সাথে আপনার কাস্টমারও আপনার নিকট থেকে দ্রুত সার্ভিস পাবে। কম সময়ে হাতের কাছে যে কোন পন্য বা সার্ভিস পেতে কে না চায়!
ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম – ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের ওয়েবসাইটের বা বিজনেসের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান তার সম্পূর্ন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যেমন ইচ্ছা থাকতে হবে তেমনি সুন্দর ওয়েবসাইট হাতে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে।
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে পরিচয় করে দিয়ে এসইও করার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এসইও বিষয়টি ওয়েবসাইট তৈরির খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় না। কারন ওয়েবসাইট লাইভ হওয়ার পর লং টার্মে রেজাল্ট পাওয়ার জন্য এসইও দরকার। নিচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরা হল।
কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
ডোমেইন সিলেকশন
এরপর আপনাকে আপনার বিজনেসের জন্য নাম সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনার বিজনেস দীর্ঘ দিন ধরে অফলাইনে চললেও অনলাইনে নেই। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বিজনেসের নামেই ডোমেইন কিনতে পারেন। তবে দেখতে হবে ডোমেইনটি অনলাইনে অ্যাভেইলএবল আছে কি না। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ডোমেইন কি? সহজ কথায় ডোমেইন হল কোন কিছুর নাম। আপনার বিজনেসের নামই হল আপনার ডোমেইন নেম। যে নির্দিষ্ট নামে আপনার বিজনেসকে সহজেই চিনতে পারবে।
হোস্টিং
ডোমেইন ঠিক করার পর আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং বলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্পেসকে বুঝায় যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি অনলাইনে রাখবেন। সহজভাবে বুঝার জন্য আপনি আপনার মোবাইলে মেমোরি কার্ড থাকে। সেখানে আপনি আপনার পছন্দের গান ভিডিও ছবি ইত্যাদি রাখতে পারেন এবং সেখানে সংরক্ষিত থাকে। একই ভাবে ওয়েবসাইট যে জায়াগায় রাখা হয় সেটিকে হোস্টিং বলে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি ঐ জায়গা থেকে হোস্ট করা হয়। এটিই ওয়েব হোস্টিং। আপনার ওয়েবসাইটের ইনফোরমেশন হোস্টিং থাকে। ইউজারের সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী সার্চ গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটে যদি রিলেভেন্ট ইনফোরমেশন পায় তাহলে ইউজারের সামনে নিয়ে আসবে। মূলত এভাবেই যে কোন ইউজার ওয়েবসাইটে আসে এবং সার্ভিস কিনে থাকে। এই কারনে ওয়েবসাইট তৈরিতে হোস্টিং এত গুরুত্বপুর্ন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন লে আউট প্ল্যান
আপনি যদি আপনার বিজনেসের জন্য ডোমেইন হোস্টিং ঠিক করে থাকেন অথবা কিনবেন এমন মনস্থির করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট কিংবা ডিজাইন কেমন নিতে চাইবেন তা ঠিক করতে হবে। কোন অপশন থাকবে কোনটি থাকবে না এবং ইউজারে জন্য আরও কত সহজ করা যায় পেমেন্ট মেথড কি রাখতে চান ইত্যাদি আপনাকে হাতে কলমে ঠিক প্ল্যান করতে হবে। কেননা বাজারে যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজনেস আছে তেমনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট রয়েছে। যাদের আউট লুক কিংবা লে আউট ভিন্ন ক্যাটাগরির সাথে মিলে না।
সহজ ভাবে বললে আপনার যদি হোটেল রেস্টুরেন্টের বিজনেস থাকে তাহলে আপনাকে ফার্নিচার কিংবা হার্ডওয়্যার স্টোরের লে আউট এর মত ওয়েবসাইট বানালে হবে না। এতে করে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স বা কাস্টমার বিরক্ত হবে এবং সার্ভিস নিতে চাইবে না। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট যদি রেস্টুরেন্ট ওয়েবসাইটের মতই হয়ে থাকে তাহলে যে কোন কাস্টমার আগ্রহের সাথে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানার জন্য ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ ঘুরে ঘুরে দেখবে। ওয়েব সাইট ডিজাইন এই কারনেই গুরুত্বপূর্ন। আর্থৎ সহজ কথায় আগে দর্শনদারী পরে গুন বিচারী। এমনই কিছু ওয়েবসাইট দেখতে ক্লিক করুন
UI/UX ডিজাইইন
UI হল User Interface। অর্থাৎ আপনার কাষ্টমাররা/ব্যবহারকারী যে অংশটা দেখে (Visual Design)। যার মাধ্যমে কাষ্টমার/ব্যবহারকারীদের কোন জিনিষের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় । অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের জন্য কোথায় কি কি থাকবে এবং কোন অপশনের ধরন কেমন হবে ইত্যাদি ডিজাইন করা ।
অপর দিকে UX হল User Experience । কারা আপনার প্রোডাক্ট এর টার্গেট কাষ্টমার, তারা কেন আপনার প্রোডাক্ট কিনবে আর প্রোডাক্ট কেনার পর সেই প্রোডাক্ট এর সাথে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন – এসব বিষয় নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে UX ডিজাইন ।
একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় UI/UX তৈরি করা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, বিশেষ করে এটি ব্যবহারকারীদের সহজে বোধগম্য হওয়া জরুরী । এক জরিপে দেখা গিয়েছে কিছু ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, শাওমি বা অ্যাপল মোবাইলে মধ্যে কোনটি আপনাদের বেশী পছন্দ , অধিকাংশের মতামত হল পছন্দের ক্ষেত্রে তারা শাওমি ফোনকেই বেশী পছন্দ করে। এর প্রধান কারন এটি অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলী।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?
- Post Publishedওয়েবসাইট তৈরি – অনলাইন এবং অফলাইন এই দুটি শব্দের সাথেই আমরা বেশ পরিচিত। তবে বর্তমানে অনলাইন শব্দটির সাথে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং দৈনিন্দন কথা বার্তায় এই শব্দটি উল্লেখ করে থাকি। অনলাইনে উপস্থিতির সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন কোনায় কি ঘটছে তা জানতে পারি। ওয়েবসাইট কত গুলো ওয়েব পেজ বা পৃষ্টার সমন্বয়ে গঠিত যেখানে ইনফোরমেশন থাকে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে প্ল্যান করতে হয়। তবে তার আগে জানার জানতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা কি? কেন দরকার।
- ওয়েবসাইট কি
- ওয়েবসাইট শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। তবে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে ওয়েবসাইট কি? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে আপনার যে কোন ইনফরমেশন তুলে ধরার একমাত্র মাধ্যমকেই ওয়েবসাইট বলা যায় । এটা কে আপনি আপনার অনলাইন প্রোপার্টি অর্থাৎ সম্পদ বলতে পারেন।
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন সার্ভিস কম্পানি গুলো এই ওয়েবসাইট এর মধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে জমা করে। যেন একজন ইউজার খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
ওয়েবসাইট তৈরি করা কেন দরকার আপনার বিজনেসের জন্য?
আপনার বিজনেস বড় করার জন্য এবং নিজকে অনলাইনে তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার। বর্তমান সময়ে আপনার বিজনেসের যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে তার বৈধতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে। বাংলাদেশে এমন ট্রেণ্ড তেমন না থাকলে নতুন জেনারেশন এবং বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াই ওয়েবসাইটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন ওয়েবসাইট কাস্টমারের মনে আপনার বিজনেসের ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করে যা মানুষের মনে আস্থা আনে। একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সার্ভিস সমূহ সুন্দর ভাবে কাস্টমারের নিকট তুলে ধরে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ – ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়?
এত কিছুর পূর্বে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজে বুঝতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে আপনি ওয়েবসাইট কেন নিবেন? নিলেও কেমন ডিজাইন হবে, দেখতে কেমন হবে। আপনি ওয়েবসাইটের কোথায় কি দেখাতে চান তা নিয়ে আপনার সম্পূর্ন ধারনা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মনের মত ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন । আপনি যদি এই বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারেন এবং নিজের বিজনেস প্ল্যান স্টেপ বাই স্টেপ তৈরি করতে পারেন তাহলে ওয়েবসাইট যেমন সুন্দর হবে তেমনিভাবে আপনার আডিয়েন্সও বেশি পছন্দ করবে। যে কোন সুন্দর এবং রিসপোনসিভ ফার্স্ট ওয়েবসাইট আপনার বিজনেসের গতি অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে একই সাথে আপনার কাস্টমারও আপনার নিকট থেকে দ্রুত সার্ভিস পাবে। কম সময়ে হাতের কাছে যে কোন পন্য বা সার্ভিস পেতে কে না চায়!
ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম – ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের ওয়েবসাইটের বা বিজনেসের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান তার সম্পূর্ন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যেমন ইচ্ছা থাকতে হবে তেমনি সুন্দর ওয়েবসাইট হাতে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে।
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে পরিচয় করে দিয়ে এসইও করার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এসইও বিষয়টি ওয়েবসাইট তৈরির খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় না। কারন ওয়েবসাইট লাইভ হওয়ার পর লং টার্মে রেজাল্ট পাওয়ার জন্য এসইও দরকার। নিচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরা হল।
কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
ডোমেইন সিলেকশন
এরপর আপনাকে আপনার বিজনেসের জন্য নাম সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনার বিজনেস দীর্ঘ দিন ধরে অফলাইনে চললেও অনলাইনে নেই। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বিজনেসের নামেই ডোমেইন কিনতে পারেন। তবে দেখতে হবে ডোমেইনটি অনলাইনে অ্যাভেইলএবল আছে কি না। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ডোমেইন কি? সহজ কথায় ডোমেইন হল কোন কিছুর নাম। আপনার বিজনেসের নামই হল আপনার ডোমেইন নেম। যে নির্দিষ্ট নামে আপনার বিজনেসকে সহজেই চিনতে পারবে।
হোস্টিং
ডোমেইন ঠিক করার পর আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং বলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্পেসকে বুঝায় যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি অনলাইনে রাখবেন। সহজভাবে বুঝার জন্য আপনি আপনার মোবাইলে মেমোরি কার্ড থাকে। সেখানে আপনি আপনার পছন্দের গান ভিডিও ছবি ইত্যাদি রাখতে পারেন এবং সেখানে সংরক্ষিত থাকে। একই ভাবে ওয়েবসাইট যে জায়াগায় রাখা হয় সেটিকে হোস্টিং বলে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি ঐ জায়গা থেকে হোস্ট করা হয়। এটিই ওয়েব হোস্টিং। আপনার ওয়েবসাইটের ইনফোরমেশন হোস্টিং থাকে। ইউজারের সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী সার্চ গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটে যদি রিলেভেন্ট ইনফোরমেশন পায় তাহলে ইউজারের সামনে নিয়ে আসবে। মূলত এভাবেই যে কোন ইউজার ওয়েবসাইটে আসে এবং সার্ভিস কিনে থাকে। এই কারনে ওয়েবসাইট তৈরিতে হোস্টিং এত গুরুত্বপুর্ন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন লে আউট প্ল্যান
আপনি যদি আপনার বিজনেসের জন্য ডোমেইন হোস্টিং ঠিক করে থাকেন অথবা কিনবেন এমন মনস্থির করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট কিংবা ডিজাইন কেমন নিতে চাইবেন তা ঠিক করতে হবে। কোন অপশন থাকবে কোনটি থাকবে না এবং ইউজারে জন্য আরও কত সহজ করা যায় পেমেন্ট মেথড কি রাখতে চান ইত্যাদি আপনাকে হাতে কলমে ঠিক প্ল্যান করতে হবে। কেননা বাজারে যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজনেস আছে তেমনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট রয়েছে। যাদের আউট লুক কিংবা লে আউট ভিন্ন ক্যাটাগরির সাথে মিলে না।
সহজ ভাবে বললে আপনার যদি হোটেল রেস্টুরেন্টের বিজনেস থাকে তাহলে আপনাকে ফার্নিচার কিংবা হার্ডওয়্যার স্টোরের লে আউট এর মত ওয়েবসাইট বানালে হবে না। এতে করে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স বা কাস্টমার বিরক্ত হবে এবং সার্ভিস নিতে চাইবে না। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট যদি রেস্টুরেন্ট ওয়েবসাইটের মতই হয়ে থাকে তাহলে যে কোন কাস্টমার আগ্রহের সাথে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানার জন্য ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ ঘুরে ঘুরে দেখবে। ওয়েব সাইট ডিজাইন এই কারনেই গুরুত্বপূর্ন। আর্থৎ সহজ কথায় আগে দর্শনদারী পরে গুন বিচারী। এমনই কিছু ওয়েবসাইট দেখতে ক্লিক করুন
UI/UX ডিজাইইন
UI হল User Interface। অর্থাৎ আপনার কাষ্টমাররা/ব্যবহারকারী যে অংশটা দেখে (Visual Design)। যার মাধ্যমে কাষ্টমার/ব্যবহারকারীদের কোন জিনিষের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় । অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের জন্য কোথায় কি কি থাকবে এবং কোন অপশনের ধরন কেমন হবে ইত্যাদি ডিজাইন করা ।
অপর দিকে UX হল User Experience । কারা আপনার প্রোডাক্ট এর টার্গেট কাষ্টমার, তারা কেন আপনার প্রোডাক্ট কিনবে আর প্রোডাক্ট কেনার পর সেই প্রোডাক্ট এর সাথে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন – এসব বিষয় নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে UX ডিজাইন ।
একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় UI/UX তৈরি করা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, বিশেষ করে এটি ব্যবহারকারীদের সহজে বোধগম্য হওয়া জরুরী । এক জরিপে দেখা গিয়েছে কিছু ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, শাওমি বা অ্যাপল মোবাইলে মধ্যে কোনটি আপনাদের বেশী পছন্দ , অধিকাংশের মতামত হল পছন্দের ক্ষেত্রে তারা শাওমি ফোনকেই বেশী পছন্দ করে। এর প্রধান কারন এটি অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলী।
ডিজাইন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি
আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট বা ডিজাইন কমপ্লিট। এখন আপনাকে ওয়েবসাইট কোডিং করে অথবা বিভিন্ন CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ডেভলপ বা তৈরি করতে হবে । অর্থাৎ স্বপ্নকে বাস্তবে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজে কোডিং করে অথবা CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় তা শিখে নিজেই বানাতে পারেন। কিন্তু এই পদ্ধতি বেশ সময় সাপেক্ষ।
আরও সহজ পদ্ধতি হল আপনি কোন ওয়েব ডেভলপমেন্ট এজেন্সি বা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি থেকে আপনার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। এসব এজেন্সি ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। তারা তাদের নিজস্ব ডেভলপার দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী ফাংশন এবং ফিচার নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত খরচ পড়বে ইত্যাদি আপনি সরাসরি সশরীরে তাদের সাথে আলোচন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র তাদের সাথে যোগাযোগ করে মিটিং ফিক্স করতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্লাগইন ইনস্টল করুন
এসইও প্লাগিন- আপনি যখন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইট এর ব্যাসিক কিছু এসইও করতে হবে। যদিও এস ই ও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে এস ই ও করার জন্য ভালো ২ টি প্লাগিন রয়েছে । যেমনঃ Rank Math ও Yoast SEO। আপনি খুব সহজেই এই প্লাগিন দুটি ব্যবহার করতে পারেন।
সিকিউরিটি প্লাগিন- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী করা যেকোন ওয়েবসাইট হোক না কেন সকল ধরনের ওয়েবসাইটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রতিটি ওয়েবসাইটের ওনাররা জানে কিভাবে কত কষ্ট করে একটি ওয়েবসাইট মেইটেইন করতে হয় আর সেই ওয়েবসাইট টি যদি অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং সব কিছু মুছে ফেলে তখন কি হবে?
এ কারনে সব সময় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিশ্চিত করা উচিত। আর যদি আপনার ওয়েবসাইট টি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট, তাহলে তো আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এটি অন্য সব ওয়েবসাইত এর মতো না। এতে থাকে বিভিন্ন পন্য, ব্যবহারকারীদের ইনফরমেশন, পেমেন্ট ডিটেইলস ইত্যাদি আর এই গুলো কোন অসাধু ব্যক্তির হাতে চলে যায় তাহলে ব্যবহারকারী এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।
রেডিমেড ওয়েবসাইট বা টেমপ্লেট
এভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতেও আপনাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি যদি এমনও হয় আপনার কাছে যে কোন কারনে সময় নেই হাতে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট লাগবেই সেক্ষেত্রে রেডিমেড ওয়েবসাইট কিনতে পারেন। বাজারে যেমন রেডিমেড জামা কাপড় কিংবা খাবার থাকে এবং জলদিই কেনা যায়; রেডিমেড ওয়েবসাইটও তেমনি ভাবে কেনা যায়। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলো কাস্টম ভাবে তৈরি করা হয়। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ওয়েবসাইট গুলোর ভিন্নতা রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলোর কালেকশন দেখতে চান? রেডিমেড ওয়েবসাইটের সাথে কিছু ফ্রি ফিচার ও থাকছে। প্রোডাক্ট গুলো দেখলে এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ
ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ এবং লাইভ করাও হল। Congratulations আপনার বিজনেসের একটি অনলাইন উপস্থিতি বা ওয়েবসাইট আছে। আপনি নিজেও নিজের এন্ড্রয়েড ফোন থেকে সার্চ করে নিজের ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন তো ? গুগলের সাথে পরিচয় না করিয়ে থাকলে আপনার ওয়েবসাইট অন্যের কাছে যাবেনা এবং দেখতেও পারবে না। আসুন দেখে নেয়া যাক কি ভাবে গুগলের সাথে ওয়েবসাইট এর পরিচয় করিয়ে দিবেন!

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?
- Post Published:July 7, 2022
- Post Category:ই-কমার্স ওয়েব ডেভেলপমেন্ট / ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট / ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবসাইট তৈরি – অনলাইন এবং অফলাইন এই দুটি শব্দের সাথেই আমরা বেশ পরিচিত। তবে বর্তমানে অনলাইন শব্দটির সাথে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং দৈনিন্দন কথা বার্তায় এই শব্দটি উল্লেখ করে থাকি। অনলাইনে উপস্থিতির সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন কোনায় কি ঘটছে তা জানতে পারি। ওয়েবসাইট কত গুলো ওয়েব পেজ বা পৃষ্টার সমন্বয়ে গঠিত যেখানে ইনফোরমেশন থাকে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে প্ল্যান করতে হয়। তবে তার আগে জানার জানতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা কি? কেন দরকার।
ওয়েবসাইট কি
ওয়েবসাইট শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। তবে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে ওয়েবসাইট কি? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে আপনার যে কোন ইনফরমেশন তুলে ধরার একমাত্র মাধ্যমকেই ওয়েবসাইট বলা যায় । এটা কে আপনি আপনার অনলাইন প্রোপার্টি অর্থাৎ সম্পদ বলতে পারেন।
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন সার্ভিস কম্পানি গুলো এই ওয়েবসাইট এর মধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে জমা করে। যেন একজন ইউজার খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
ওয়েবসাইট তৈরি করা কেন দরকার আপনার বিজনেসের জন্য?
আপনার বিজনেস বড় করার জন্য এবং নিজকে অনলাইনে তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার। বর্তমান সময়ে আপনার বিজনেসের যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে তার বৈধতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে। বাংলাদেশে এমন ট্রেণ্ড তেমন না থাকলে নতুন জেনারেশন এবং বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াই ওয়েবসাইটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন ওয়েবসাইট কাস্টমারের মনে আপনার বিজনেসের ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করে যা মানুষের মনে আস্থা আনে। একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সার্ভিস সমূহ সুন্দর ভাবে কাস্টমারের নিকট তুলে ধরে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ – ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়?
এত কিছুর পূর্বে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজে বুঝতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে আপনি ওয়েবসাইট কেন নিবেন? নিলেও কেমন ডিজাইন হবে, দেখতে কেমন হবে। আপনি ওয়েবসাইটের কোথায় কি দেখাতে চান তা নিয়ে আপনার সম্পূর্ন ধারনা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মনের মত ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন । আপনি যদি এই বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারেন এবং নিজের বিজনেস প্ল্যান স্টেপ বাই স্টেপ তৈরি করতে পারেন তাহলে ওয়েবসাইট যেমন সুন্দর হবে তেমনিভাবে আপনার আডিয়েন্সও বেশি পছন্দ করবে। যে কোন সুন্দর এবং রিসপোনসিভ ফার্স্ট ওয়েবসাইট আপনার বিজনেসের গতি অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে একই সাথে আপনার কাস্টমারও আপনার নিকট থেকে দ্রুত সার্ভিস পাবে। কম সময়ে হাতের কাছে যে কোন পন্য বা সার্ভিস পেতে কে না চায়!
ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম – ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের ওয়েবসাইটের বা বিজনেসের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান তার সম্পূর্ন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যেমন ইচ্ছা থাকতে হবে তেমনি সুন্দর ওয়েবসাইট হাতে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে।
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে পরিচয় করে দিয়ে এসইও করার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এসইও বিষয়টি ওয়েবসাইট তৈরির খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় না। কারন ওয়েবসাইট লাইভ হওয়ার পর লং টার্মে রেজাল্ট পাওয়ার জন্য এসইও দরকার। নিচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরা হল।
কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
ডোমেইন সিলেকশন
এরপর আপনাকে আপনার বিজনেসের জন্য নাম সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনার বিজনেস দীর্ঘ দিন ধরে অফলাইনে চললেও অনলাইনে নেই। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বিজনেসের নামেই ডোমেইন কিনতে পারেন। তবে দেখতে হবে ডোমেইনটি অনলাইনে অ্যাভেইলএবল আছে কি না। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ডোমেইন কি? সহজ কথায় ডোমেইন হল কোন কিছুর নাম। আপনার বিজনেসের নামই হল আপনার ডোমেইন নেম। যে নির্দিষ্ট নামে আপনার বিজনেসকে সহজেই চিনতে পারবে।
হোস্টিং
ডোমেইন ঠিক করার পর আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং বলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্পেসকে বুঝায় যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি অনলাইনে রাখবেন। সহজভাবে বুঝার জন্য আপনি আপনার মোবাইলে মেমোরি কার্ড থাকে। সেখানে আপনি আপনার পছন্দের গান ভিডিও ছবি ইত্যাদি রাখতে পারেন এবং সেখানে সংরক্ষিত থাকে। একই ভাবে ওয়েবসাইট যে জায়াগায় রাখা হয় সেটিকে হোস্টিং বলে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি ঐ জায়গা থেকে হোস্ট করা হয়। এটিই ওয়েব হোস্টিং। আপনার ওয়েবসাইটের ইনফোরমেশন হোস্টিং থাকে। ইউজারের সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী সার্চ গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটে যদি রিলেভেন্ট ইনফোরমেশন পায় তাহলে ইউজারের সামনে নিয়ে আসবে। মূলত এভাবেই যে কোন ইউজার ওয়েবসাইটে আসে এবং সার্ভিস কিনে থাকে। এই কারনে ওয়েবসাইট তৈরিতে হোস্টিং এত গুরুত্বপুর্ন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন লে আউট প্ল্যান
আপনি যদি আপনার বিজনেসের জন্য ডোমেইন হোস্টিং ঠিক করে থাকেন অথবা কিনবেন এমন মনস্থির করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট কিংবা ডিজাইন কেমন নিতে চাইবেন তা ঠিক করতে হবে। কোন অপশন থাকবে কোনটি থাকবে না এবং ইউজারে জন্য আরও কত সহজ করা যায় পেমেন্ট মেথড কি রাখতে চান ইত্যাদি আপনাকে হাতে কলমে ঠিক প্ল্যান করতে হবে। কেননা বাজারে যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজনেস আছে তেমনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট রয়েছে। যাদের আউট লুক কিংবা লে আউট ভিন্ন ক্যাটাগরির সাথে মিলে না।
সহজ ভাবে বললে আপনার যদি হোটেল রেস্টুরেন্টের বিজনেস থাকে তাহলে আপনাকে ফার্নিচার কিংবা হার্ডওয়্যার স্টোরের লে আউট এর মত ওয়েবসাইট বানালে হবে না। এতে করে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স বা কাস্টমার বিরক্ত হবে এবং সার্ভিস নিতে চাইবে না। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট যদি রেস্টুরেন্ট ওয়েবসাইটের মতই হয়ে থাকে তাহলে যে কোন কাস্টমার আগ্রহের সাথে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানার জন্য ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ ঘুরে ঘুরে দেখবে। ওয়েব সাইট ডিজাইন এই কারনেই গুরুত্বপূর্ন। আর্থৎ সহজ কথায় আগে দর্শনদারী পরে গুন বিচারী। এমনই কিছু ওয়েবসাইট দেখতে ক্লিক করুন
UI/UX ডিজাইইন
UI হল User Interface। অর্থাৎ আপনার কাষ্টমাররা/ব্যবহারকারী যে অংশটা দেখে (Visual Design)। যার মাধ্যমে কাষ্টমার/ব্যবহারকারীদের কোন জিনিষের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় । অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের জন্য কোথায় কি কি থাকবে এবং কোন অপশনের ধরন কেমন হবে ইত্যাদি ডিজাইন করা ।
অপর দিকে UX হল User Experience । কারা আপনার প্রোডাক্ট এর টার্গেট কাষ্টমার, তারা কেন আপনার প্রোডাক্ট কিনবে আর প্রোডাক্ট কেনার পর সেই প্রোডাক্ট এর সাথে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন – এসব বিষয় নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে UX ডিজাইন ।
একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় UI/UX তৈরি করা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, বিশেষ করে এটি ব্যবহারকারীদের সহজে বোধগম্য হওয়া জরুরী । এক জরিপে দেখা গিয়েছে কিছু ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, শাওমি বা অ্যাপল মোবাইলে মধ্যে কোনটি আপনাদের বেশী পছন্দ , অধিকাংশের মতামত হল পছন্দের ক্ষেত্রে তারা শাওমি ফোনকেই বেশী পছন্দ করে। এর প্রধান কারন এটি অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলী।
ডিজাইন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি
আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট বা ডিজাইন কমপ্লিট। এখন আপনাকে ওয়েবসাইট কোডিং করে অথবা বিভিন্ন CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ডেভলপ বা তৈরি করতে হবে । অর্থাৎ স্বপ্নকে বাস্তবে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজে কোডিং করে অথবা CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় তা শিখে নিজেই বানাতে পারেন। কিন্তু এই পদ্ধতি বেশ সময় সাপেক্ষ।
আরও সহজ পদ্ধতি হল আপনি কোন ওয়েব ডেভলপমেন্ট এজেন্সি বা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি থেকে আপনার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। এসব এজেন্সি ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। তারা তাদের নিজস্ব ডেভলপার দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী ফাংশন এবং ফিচার নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত খরচ পড়বে ইত্যাদি আপনি সরাসরি সশরীরে তাদের সাথে আলোচন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র তাদের সাথে যোগাযোগ করে মিটিং ফিক্স করতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্লাগইন ইনস্টল করুন
এসইও প্লাগিন- আপনি যখন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইট এর ব্যাসিক কিছু এসইও করতে হবে। যদিও এস ই ও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে এস ই ও করার জন্য ভালো ২ টি প্লাগিন রয়েছে । যেমনঃ Rank Math ও Yoast SEO। আপনি খুব সহজেই এই প্লাগিন দুটি ব্যবহার করতে পারেন।
সিকিউরিটি প্লাগিন- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী করা যেকোন ওয়েবসাইট হোক না কেন সকল ধরনের ওয়েবসাইটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রতিটি ওয়েবসাইটের ওনাররা জানে কিভাবে কত কষ্ট করে একটি ওয়েবসাইট মেইটেইন করতে হয় আর সেই ওয়েবসাইট টি যদি অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং সব কিছু মুছে ফেলে তখন কি হবে?
এ কারনে সব সময় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিশ্চিত করা উচিত। আর যদি আপনার ওয়েবসাইট টি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট, তাহলে তো আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এটি অন্য সব ওয়েবসাইত এর মতো না। এতে থাকে বিভিন্ন পন্য, ব্যবহারকারীদের ইনফরমেশন, পেমেন্ট ডিটেইলস ইত্যাদি আর এই গুলো কোন অসাধু ব্যক্তির হাতে চলে যায় তাহলে ব্যবহারকারী এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।
রেডিমেড ওয়েবসাইট বা টেমপ্লেট
এভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতেও আপনাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি যদি এমনও হয় আপনার কাছে যে কোন কারনে সময় নেই হাতে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট লাগবেই সেক্ষেত্রে রেডিমেড ওয়েবসাইট কিনতে পারেন। বাজারে যেমন রেডিমেড জামা কাপড় কিংবা খাবার থাকে এবং জলদিই কেনা যায়; রেডিমেড ওয়েবসাইটও তেমনি ভাবে কেনা যায়। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলো কাস্টম ভাবে তৈরি করা হয়। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ওয়েবসাইট গুলোর ভিন্নতা রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলোর কালেকশন দেখতে চান? রেডিমেড ওয়েবসাইটের সাথে কিছু ফ্রি ফিচার ও থাকছে। প্রোডাক্ট গুলো দেখলে এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ
ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ এবং লাইভ করাও হল। Congratulations আপনার বিজনেসের একটি অনলাইন উপস্থিতি বা ওয়েবসাইট আছে। আপনি নিজেও নিজের এন্ড্রয়েড ফোন থেকে সার্চ করে নিজের ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন তো ? গুগলের সাথে পরিচয় না করিয়ে থাকলে আপনার ওয়েবসাইট অন্যের কাছে যাবেনা এবং দেখতেও পারবে না। আসুন দেখে নেয়া যাক কি ভাবে গুগলের সাথে ওয়েবসাইট এর পরিচয় করিয়ে দিবেন!
ওয়েবসাইটকে গুগল এর সাথে পরিচয় করে দেওয়া
আপনি অফলাইনে ব্যবসা করলে যেমন আপনার কম্পিটিটর বা প্রতিদ্বন্দ্বী আছে তেমনি অনলাইনেও আপনার বিজনেসের কম্পিটিটর আছে। আপনি আমি যে কোন কিছু সার্চ দিলে ১ম, ২য় এবং ৩য় অবস্থানে যেসব রেজাল্ট আসে সেগুলোই ভিজিট করে থাকি। এখন আপনার ওয়েবসাইটকেও সে অবস্থানে নিয়ে আসতে হবে; যেন আপনার সার্ভিস নিয়ে যে কেউ সার্চ দিলে আপনাকেই খুজে পায়। এই বিষয়টিকে অনলাইন ভিজিবিলিটি বলে। এই অনলাইন ভিজিবিলিটি যার যত বেশি তার ওয়েবসাইটে ত বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক ঢুকে এবং সার্ভিস সেল হওয়ার চান্স বেশি থাকে। এই অনলাইন ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্যই এসইও করা দরকার হয়। এসইও আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাংক করাতে মেজর ভুমিকা রাখে। আপনার ওয়েবসাইটের এসইও কোথা থেকে করবেন তা নিয়ে চিন্তিত?
১. সাইটম্যাপ সাবমিট–সাইটম্যাপ হল কোন একটি ওয়েবসাইট এর মানচিত্র। এটি search engine কে বলে দেয় আপনার ওয়েবসাইটটি কি বিষয়ের উপর তৈরি করা এবং এই আপনার ওয়েবসাইটের কোথায় কি কি আছে।
যেমন ধরুন- আপনাকে দেশের বাইরে ( আমেরিকা) যেতে হবে, এখন আপনার হাতে যদি আমেরিকার একটি ম্যাপ তলে দেয়া হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন যে, কোথায় থেকে কি ভাবে এবং কোন পথে আপনার গন্তব্যে যেতে হবে। ঠিক এই রকম ভাবে সাইটম্যাপ ও সার্চ ইঞ্জিন কে বলে দেয় আপনার ওয়েবসাইটের কোথায় কি কি তথ্য দেয়া আছে। এই জন্যই প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এর সাইটম্যাপ সাবিমিট করতে হবে।
২. অ্যানালাইটিকস সেটাপ-গুগল অ্যানালিটিক্স হ’ল এমন একটি ওয়েব অ্যানালিটিক্স পরিষেবা যা বর্তমানে ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক ট্র্যাক করে এবং একটি খসরা তৈরি করে। আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্ক কেমন তাদের বয়স,কোন লিঙ্গের,তাদের লোকেশন ইত্যাদি গুগল অ্যানালিটিক্স এর মাধ্যমে জানা যায়। আর তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এর সাথে গুগল অ্যানালিটিক্স সংযোগ করতে হবে যাতে করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ আসা সকল ব্যবহারকারীর তথ্য যেনে ,সে অনুসারে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
৩. গুগল মাই বিজনেস –GOOGLE MY BUSINESS (GMB) আপনার অনেকেই হয়তো এটার নাম শুনে থাকবেন। এটি গুগলের এমন একটি সার্ভিস যা গুগলের মাধ্যমে আপনার বিজনেস বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পরিচিতি নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজ এবং গুগল ম্যাপে সহজে খুঁজে পেতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে কোন খরচ ছাড়াই আপনার প্রতিষ্ঠানকে বা ব্যবসাকে পরিচালনা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। অপর দিকে গুগুল মাই বিজনেস লোকাল এস ই ও এর একটি অংশ। GOOGLE MY BUSINESS পেজ তৈরি করে এবং ভেরিফাইয়ের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে গুগুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সময়ের সাথে সাথে গুগলের প্রথম পেইজে আসতে সাহায্য করে। তাতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে এবং সেল জেনারেট বৃদ্ধি পাবে। তাই গুগুল মাই বিজনেস হচ্ছে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম মাধ্যম। যার মাধ্যমে বিনা খরচে আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
শেষকথা
এতক্ষনে আপনি এই বিষয় ভালভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে । আবহওয়া খারাপ হলে আপনার বিজনেস সেদিন ধীরগতির হয় এবং কাস্টমার কম থাকে। কেননা মানুষ বাড়ীর বাহিরে কম বের হয়। কিন্তু আপনার বিজনেসের যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে কাস্টমার ঘরে বসেই ফোন থেকে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে জানতে পারছে এবং কিনতে পারছে। অর্থাৎ, ব্যাবসা থেমে থাকছে না। আবহওয়ার উন্নতি হলে কাস্টমারের নিকট পন্য পৌছানো যেতে পারে অতি অল্প সময়েই। এতে করে আপনার এবং কাস্টমারের উভয়ের সময় যেমন বেঁচে গেল তেমনি ভাবে দুই জনই খুশি। কেউ সার্ভিস দিয়ে; কেউ সার্ভিস নিয়ে।
ওয়েবসাইট তৈরি সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সার্চ টার্মসঃ
মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কোন প্রতিষ্ঠান, কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি, প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি হয় কত সালে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কোন প্রতিষ্ঠান, নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করুন, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়, প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি হয় কবে, ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কোন প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট তৈরির ধাপ কয়টি, ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ
কিভাবে নিজের নামে ওয়েবসাইট তৈরি করবো, কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং অর্থ উপার্জন, ওয়েবসাইট তৈরির পদ্ধতি, কি ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করব, ওয়েবসাইট তৈরির প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট তৈরির ধাপসমূহ, কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করব, ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই, ওয়েবসাইট তৈরি করুন, ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় বিবেচ্য বিষয় কোনটি, ফ্রীতে নিজের একটা ওয়েবসাইট তৈরি, নতুন ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি, একটি ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরির ধাপ, ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন, ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে খরচ, ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি।
Wow very nice
ReplyDelete