কবি পরিচিতঃ
সামীউল ইসলাম শামীম (২০০৩) বাংলা কাব্যজগতের এক অনন্য শিল্পী । তিনি বাংলাদেশের একজন তরুণ জনপ্রিয় কবি। মাত্র পঁনেরো বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করার সময় থেকে তার কবিতা লেখা শুরু হয়। তিনি ২০১৪ সালে চরিতাবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নিম্ন প্রাইমারি পাস করেন। নয় বছর বয়সে তিনি গ্রামের মক্তব থেকে কোরআন শিক্ষা অর্জন করেন । তিনি ২০১৮ সালে কিসামত চরিতাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পাস করেন। তিনি ২০১৯ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।বস্তুত তখন থেকেই তিনি সৃষ্টিশীল সত্তার অধিকারী হয়ে ওঠেন। তিনি পরিপূর্ণভাবে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন । 'দৈনিক আমার সংবাদ এবং দৈনিক স্বপ্ন যাত্রা পত্রিকায়' “অবুঝ মন” কবিতা প্রকাশিত হলে চারদিকে তাঁর কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি 'তরুণ কবি' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি 'জন্ম স্থান', 'অবুঝ মন', 'প্রকৃতির প্রেম'-সহ বিভিন্ন ধরনের কবিতা লেখেন। তিনি বর্তমানে ২০২৩ সালে আদিতমারী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঐ কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় উদীয়মান সুরুজ প্রি-ক্যাডেট এন্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
পল্লী শহর
সামীউল ইসলাম শামীম
পল্লী শহর, স্বপ্নের আবাস,
আলোর সংগ্রামে নির্মিত স্বপ্নবাস।
হাস্যের হাওয়ায়, প্রেমের সমুদ্রে,
পল্লীর সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া শান্তি বিলাস।
পাখির গানে, বনের মেলা,
পল্লীর প্রেমে ভেসে যাওয়া ছেলেরা।
গ্রামের রঙে লিপ্ত সম্মোহিত চোখ,
পল্লীর মাঝে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নের অডিস।
প্রাচীন রাজপথে, বিজয়ের স্বর্গ,
পল্লীর মধ্যে বসে প্রাণের আগুন যোগ।
মিষ্টির মধুর মেলা, বাসনার বাণী,
পল্লীর হৃদয়ে লুকিয়ে রয়েছে প্রেমের দানি।
পল্লী শহর, স্বপ্নের প্রান্তর,
মানুষের মনের আবাস, সূর্যের প্রান্তর।
আলোর মধ্যে মুখোমুখি স্বপ্নের মেলা,
পল্লী শহরে হারিয়ে যাওয়া আনন্দের দ্বীপ।
পল্লী শহরে, হাওয়া শুধু স্বপ্নের অপরাধ,
আলোর আবাসে ভেসে যাওয়া হৃদয়ের মিষ্টি মালা।
গোধূলি মেঘের ছায়ায়, নাচে হাওয়ার পাখি,
পল্লীর পাথরে মেঘের মতন রোদনী।
চাঁদের রাতে, পল্লীর চোখে আঁধার,
স্বপ্নের আবাসে মেলা পাখির সার।
সুখের সঙ্গে আলোর মেলা,
পল্লীর হৃদয়ে লুকিয়ে রয়েছে প্রেমের ঝর্ণা।
পল্লী শহরে, চাঁদের সুরে,
মনের মাঝে আলোর মেলা প্রেমের ঝরে।
হৃদয়ের রঙে মাঝে বাঁধা স্বপ্ন,
পল্লী শহরে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নের হদিস।